নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচে ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড পারফর্ম করেন শেখ মেহেদি হাসান।
বুধবার নেপিয়ারে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ডকে ১৩৪/৯ রানে আটকাতে অবদান রাখেন শেখ মেহেদি। তিনিই প্রথম নিউজিল্যান্ড শিবিরে আঘাত হানেন।
তার অফস্পিনে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে নিউজিল্যান্ডের। ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই ওপেনার টিম শিফার্টকে দলীয় ১ রানে বোল্ড করেন মেহেদি।
দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই দ্বিতীয় বলে নিউজিল্যান্ডের আরেক ওপেনার ফিন অ্যালেনকে ফেরান পেসার শরিফুল। ১.১ ওভারে দলীয় ১ রানে চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা গ্লেন ফিলিপসকেও ফেরান শরিফুল।
এরপর পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে এসে চতুর্থ বলে নিউজিল্যান্ডের তারকা ব্যাটসম্যান ড্যারেল মিচেলকে বোল্ড করেন শেখ মেহেদি।
১.৩ ওভারে মাত্র ২০ রানে প্রথম সারির ৪ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। দলীয় ৫০ রানে মার্ক চাপম্যানকে আউট করেন রিশাদ হোসেন। এভাবে সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৩৪ রান তুলতে সমর্থ হয় নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে ২৯ বলে চার বাউন্ডারি আর তিন ওভার বাউন্ডারিতে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন জেমস নিশাম। বাংলাদেশ দলের হয়ে ২৬ রানে ৩ উইকেট নেন শরিফুল। ২ ওভারে মাত্র ১৪ রানে ২ উইকেট নেন শেখ মেহেদি।
১৩৫ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৩৬ বলে ২ চার আর এক ছক্কায় অপরাজিত ৪৬ রান করেন ওপেনার লিটন কুমার দাস। ১৬ বলে এক চার আর সমান ছক্কায় ১৯ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয়ে নিশ্চিত করে লিটনের সঙ্গে সাজঘরে ফেরেন শেখ মেহেদি। ৫ উইকেটের এই ঐতিহাসিক জয়ে ২ উইকেট আর ১৯* রান করে ম্যাচ সেরা হন শেখ মেহেদি।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলে নিজের ৫০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে মেহেদী জানান, ‘নিজের শক্তির জায়গায় ভালো লেংথে করেছি। ব্যাটিংও উপভোগ করেছি। শেষ করাই কাজ ছিল। আলহামদুলিল্লাহ।’