ইসরাইলের ড্রোন হামলায় ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের তুলকারেমের নুর শামস শরণার্থী শিবিরে ছয় ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পরিচালিত এ ড্রোন হামলার পর আহতদের কাছে পৌঁছতে অ্যাম্বুলেন্সে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বিরুদ্ধে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, স্থানীয়দের মন্তব্য এবং সামাজিক প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে আলজাজিরার এ অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরাইলি সামরিক যানবাহনগুলো ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টকে আহতদের কাছাকাছি যেতে বাধা দিচ্ছে।
জীবন-মৃত্যুর মতো গুরুতর ব্যাপারে কালক্ষেপণের পর আইডিএফ অবশেষে আহতদের কাছে যেতে অ্যাম্বুলেন্সকে অনুমতি দেয়। এরপর কয়েকজন আহতকে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটস্থ হাসপাতালে। তাদের দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।
তুলকারেমে বেসামরিক অনেক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকেও অভিযান চালিয়েছে আইডিএফ। এ সময় সেনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য কয়েকটি বাড়ির ছাদে স্নাইপার রাইফেল হাতে সৈন্যদেরও মোতায়েন করা হয়েছিল। এসবের মধ্যেও প্রতিরোধ গড়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে বন্দুকযুদ্ধ চালিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা।
ইসরাইলি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান হেরজি হালেভি জানিয়েছেন, হামাসের সঙ্গে চলমান সংঘাত এখনই শেষ হচ্ছে না। এ সংঘাত চলবে আরও কয়েক মাস।
অন্যদিকে তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলকে ২৩০টি কার্গো বিমান এবং ২০টি জাহাজবোঝাই অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে এসব অস্ত্র দিয়েছে দেশটি।
গাজায় ইসরাইলি হামলা চলছে ৮১ দিন ধরে। এ সময়ের মধ্যে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২১ হাজার।
এর মধ্যে বিগত ২৪ ঘণ্টায়ই নিহত হয়েছে ২৪১ জন। এ সময়ে আহত হয়েছে আরো অন্তত ৩৮২ জন। সব মিলিয়ে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৯১৫ জনে। একই সময়ে ইসরাইলি হামলায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ৫৫ হাজার ফিলিস্তিনি।