আসন্ন সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে কেন্দ্রে এসে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার প্রার্থনায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শামীম ওসমান ও তার সহধর্মিণী সালমা ওসমান লিপি দম্পতি। এ আসনের ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ দুটি থানা এলাকায় পৃথকভাবে শামীম ওসমান ও সালমা ওসমান লিপি দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে এক কথায় নির্বাচনি আমেজ তৈরি করেছেন।
অপরদিকে তাদের এ আমেজে বাদসেধেছেন বিএনপির দুই নেতা। প্রতিদিনই ফতুল্লার কোনো না কোনো এলাকায় নির্বাচন বর্জন করার আহবান জানিয়ে ভোট কেন্দ্রে না যেতে নৌকায় ভোট না দিতে ভোটারদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করে চলেছেন। এ নিয়ে ভোটারদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
বিএনপির কর্মী-সমর্থকরাও ওই সব আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে না যেতে উৎসাহিত করছেন। এতে অনেকের ধারণা এবারের নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি কম হতে পারে। তবে এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৮ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে শামীম ওসমানই প্রচারণায় শীর্ষে রয়েছেন। অন্য ৭ জনের প্রচারণা একেবারেই ঢিলেঢালা।
তারা হলেন- তৃণমূল বিএনপির আলী হোসেন, জাকের পার্টির মুরাদ হোসেন জামাল, ইসলামী ফ্রন্টের হাবিবুর রহমান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শহীদ উন নবী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের গোলাম মোর্শেদ রনি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সৈয়দ হোসেন ও সুপ্রীম পার্টির সেলিম আহমেদ।
শামীম ওসমান বলেন, বিএনপি সবার কাছে সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত হয়ে গেছে। যে কর্মকাণ্ড তারা চালিয়েছে এবং চালাচ্ছে তাতে সবাই তাদের আগুন সন্ত্রাস বলেই পরিচয় দিচ্ছে। বিএনপির সামনে আরও পরিকল্পনা আছে।
সালমা ওসমান লিপি বলেন, যারা ভোট বানচালের চেষ্টা করছে, আমরা তাদের ভয়ে ভীত না। কারও ষড়যন্ত্রে আমরা পা দেব না। ৭ তারিখ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শামীম ওসমানকে জয়যুক্ত করুন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী করেন।
ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফরিদ আহমেদ লিটন বলেন, নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেওয়ার ক্ষমতা নেই। তাদের দলের প্রধানদের বিরুদ্ধে দেশের সম্পদ লুটপাটের অভিযোগে মামলা, সাজা রয়েছে। তাই জনগণের মুখোমুখি হওয়ার ক্ষমতা নেই বলেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি। জনগণ বিএনপির দুরবস্থা অবস্থা জানে তাই ভোট কেন্দ্রে এসে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন।
ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, এ নির্বাচন মানি না। এটা ক্ষমতার অপব্যবহারের নির্বাচন। ক্ষমতায় থেকে পাতানো নির্বাচন। শরিকদের নিয়ে নির্বাচনের নামে খেলা হচ্ছে। এজন্য ভোটারদের সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ অব্যাহত রেখেছি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি বলেন, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়কের কোনো বিকল্প নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নির্বাচন দিতে হবে। তাহলেই বিএনপি নির্বাচনে আসবে।